
এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে : খদ্দেরের যৌনসঙ্গী যোগাতে হোটেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরী-তরুণী সরবরাহকারী হিসেবে নিউইয়র্ক সিটির কুৃইন্সের বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শারেকুল ইসলাম (২২) নামক এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ব্রুকলীনের ফেডারেল কোর্টের সহকারি ইউএস এটর্নী নমী বেরেনসন মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে গত শুক্রবার এনআরবি নিউজকে জানান, ‘অভিযোগটি গুরুতর। প্রমাণিত হলে ‘সেক্স ট্রাফিকিং’র অপরাধে কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হবে শারেকুলের।’
‘নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে খদ্দেরের জন্যে তরুণী সরবরাহ করতেন এই শারেকুল’ মামলায় এ অভিযোগ করা হয়েছে। তরুণীদের নিয়ে যেতেন নিজের গাড়িতে।
ফেডারেল কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শারেকুলকে পেনসিলভেনিয়ার সোয়াটেরো টাউনশিপ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় হাওয়ার্ড জনসন মোটেলের সামনে পার্ক করা গাড়ি থেকে মারিজুয়ানার গন্ধ পেয়ে পুলিশ সজাগ হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, গাড়িতে শারেকুল এবং ১৪ বছর বয়েসী এক তরুণী বসে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হন যে, নিজের গাড়িতে করে বিভিন্ন হোটেলে তরুণী সরবরাহ করেন শারেকুল। বেশ্যার দালাল হিসেবে শারেকুলকে গ্রেফতার করা হয় বলে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট স্ট্যাসি শারানী আদালতকে অবহিত করেছেন।
গ্রেফতারের সময় ৪ ফুট ৭ ইঞ্চির শারেকুল এফবিআই এবং পুলিশের সাথে বেশ রসিকতাও করেন। সে সময় শারেকুল জানান যে, তিনি সেখানকার (পেনসিলভেনিয়ার) কিউম্বারল্যান্ড কাউন্টিতে কোয়ালিটি ইন হোটেলে একটি রুম ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে গেলে তার স্ত্রীসহ সরবরাহকৃত এক তরুণীকে পাওয়া যাবে। তার কথা অনুযায়ী ঐ মোটেলে গিয়ে মাইকেল মিলার এবং ল্যাটরেল কিং-কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধেও ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়েসী তরুণীদের দেহ-ব্যবসায় লিপ্ত করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
‘ব্যাকপেজ ডটকম’-এ তারা খদ্দের খোঁজে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল থেকেই শারেকুলসহ অন্যদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল পুলিশ।
১৭ বছর বয়েসী এক তরুণী উধাও হবার কয়েকদিন পর বাসায় ফিরলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে। মাইকেল মিলার কর্তৃক সে এহেন বেশ্যাবৃত্তিতে লিপ্ত হয়েছিল। মিলার এবং কিং-কে পেনসিলভেনিয়ায় আটক রাখা হয়েছে। তাদেরকে ব্রুকলীনে আনার পর ফেডারেল কোর্টে সোপর্দ করা হবে। কুইন্সের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শারেকুলকে গত শুক্রবার ব্রুকলীন ফেডারেল কোর্টে হাজিরের পর ৫০ হাজার বন্ডে তার মা-বাবার বরাবরে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে তার দেহে বিশেষ যন্ত্র লাগানো হয়েছে গতিবিধি মনিটরিংয়ের জন্যে।
