
শিতাংশু গুহ
মঙ্গলবার ৪ঠা অক্টবর দুই ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিপাবলিকান মাইক পেন্স এবং ডেমোক্রেট টিম কেইন-এর মধ্যকার বিতর্ক অনুষ্ঠানটি সদ্য শেষ হলো। দু’জনই ভালো করেছেন। সাবলীলভাবে তাদের নিজ নিজ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের পক্ষে জয়গান গেয়েছেন।

পেন্স পরিবর্তনের পক্ষে এবং কেইন বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে কথা বলেছেন। কেইন কথার মাঝে বারবার কথা বললেও পেন্স ছিলেন সংযত। ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদ্বয় একমাত্র বিতর্কে তাদের যোগ্যতার প্রমান রেখেছেন। ভার্জিনিয়ায় ৯০মিনিটের এই বিতর্ক শেষ হবার সাথে সাথে প্রথম মন্তব্যে সিএনএন বলেছে, মাইক পেন্স জিতেছেন। এনিয়ে ক’দিন চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে, তবে প্রথম প্রেসিডেন্ট বিতর্ক থেকে এটি ভালো হয়েছে তা যেকেউ বলবেন।
নির্বাচনের আর মাস খানেক বাকী। নির্বাচনী দামামা পুরোদমে বাঁজছে। মার্কিনীরা সোয়া দু’শ বছরের ইতিহাস পাল্টে ২০০৮ সালে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন, এবার কি তারা একজন মহিলাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানবী হিসাবে নির্বাচিত করবেন? এর উত্তরের জন্যে আমাদের মঙ্গলবার ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ঐদিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন। ফলাফলও জানা যাবে একইদিনে। এবারকার নির্বাচনটি নানান কারণে ব্যতিক্রমী, এবং এটিকে একটি নেতিবাচক নির্বাচন বলা যেতে পারে। কারণ প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কাউকেই ভোটাররা পছন্দ করছেন না, অথচ ভোটটি দিতে হবে এবং জিতবেন ওই দু’জনের একজন। এরমধ্যে দুই বড় দলের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্ধী ডেমোক্রেট হিলারী রডহ্যাম ক্লিন্টন এবং রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যেকার প্রথম বিতর্ক শেষ হয়েছে এবং রেকর্ড সংখ্যক আমেরিকান সেটি দেখেছেন।
প্রথম বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬শে সেপ্টেম্বর সোমবার। ৮৪ মিলিয়ন মানে ৮কোটি ৪০লক্ষ মানুষ তা দেখেছেন, এটি সর্বকালের রেকর্ড। রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা কাকে ভোট দেবেন বলে মনঃস্থির করতে পারেননি তারা বিতর্ক দেখে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়াস নিয়েছেন। সচরাচর যেকোন বিতর্কের শুরুতে অনেকেই টিভি অন করলেও কিছুক্ষন পরে বন্ধ করে দেন; এবার তা হয়নি, দর্শক প্রায় পুরো বিতর্ক দেখেছেন। নিউইয়র্কের হফস্ট্র্যা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ১ম বিতর্কের আয়োজক ছিলো ফক্স নিউজ। হিলারী এবং ট্রাম্প এতে একে অপরকে ৯৫মিনিট ধরে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমন করে ভোটারদের কাছে টানার প্রয়াস নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিতর্ক এমাসের ৯ তারিখ রোববার এবং তৃতীয় ১৯ তারিখ বুধবার।
যেকোন বিতর্কের পরপরই প্রশ্ন ওঠে, কে জিতেছেন? এর উত্তর নির্ভর করে, আপনি কাকে জিজ্ঞাসা করছেন? ট্রাম্প বলেছেন তিনি জিতেছেন। হিলারী বলেছেন তিনি জিতেছেন। বড়বড় মিডিয়া ও জরীপ সংস্থাগুলো বলেছে হিলারী জিতেছেন। আবার প্রায় সব ওয়েব জরীপ বলেছে, ট্রাম্প জিতেছেন। পাঠকের সুবিধার্থে বেশক’টি জরীপের ফলাফল দেখা যাক: সিএনএন-ওআরসি জরীপ বলেছে হিলারী ৫৯%-ট্রাম্প ২৬%। এনবিসি-সার্ভে মাংকি ৫২-২১%।বামঘেঁষা পাবলিক পলিসি জরিপ বলেছে ৫৪-৩১%। সিএনবিসি বেশ কয়েক লক্ষ মানুষের অন-লাইন জরীপ করে বলেছে ট্রাম্প ৬৭-হিলারী ৩৩%। টাইম ১৬লক্ষ মানুষের মতামত নিয়ে বলেছে ট্রাম্প ৫৫-হিলারী ৪৫%।ফক্স বলেছে ট্রাম্প ৫০-হিলারী ৩৪%। ফরচুন অনলাইন পোল বলেছে, ট্রাম্প ৫২-হিলারী ৪৮%।
গোটা আমেরিকায় এখন হিলারী সামান্য এগিয়ে আছেন। ৪ অক্টবর সিএনএন বলেছে ৪৬-৪১% এবং সিবিএস জরিপ বলেছে হিলারী ৪৪-ট্রাম্প ৪১%। নিউইয়র্ক টাইমস ২৮শে সেপ্টেম্বর বলেছে, হিলারী ৪৫% -ট্রাম্প ৪২%। একইদিন বুলুমবার্গ জরিপ বলেছে, ট্রাম্প ৪৩%-হিলারী ৪১%-লিবারিটান প্রার্থী গ্যারী জনসন ৮%-গ্রীনপার্টি যিল স্টেইন ৪%। আপনি কোনটি বিশ্বাস করবেন? আরো দেখা যাক, ওয়াশিংটন পোষ্ট-এবিসি নিউজ জরীপ ক’দিন আগে বলেছে, হিলারী ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। অর্থাৎ, ক্লিন্টন ৪৬%; ট্রাম্প ৪১%; গ্যারী জনসন ৯% এবং যিল স্টেইন ২%। ওয়াশিংটন পোষ্ট এবং সার্ভে মাঙ্কি বলেছে, হিলারীর অবস্থান ভালো। বিভিন্ন স্টেট্ জরীপ বলছে: ট্রাম্প মিজৌরিতে ১০.১%; আইওয়াতে ৫.২%, জর্জিয়াতে ৪.৮%, আরিজোনায় ৩.৭% এবং ওহিও-তে ১.৪% -এ এগিয়ে আছেন। পক্ষান্তরে হিলারী মিনেসোটায় ৭.৭%, ভার্জিনিয়ায় ৭.৪%, নিউ হ্যাম্পশায়ার ৬.৩%, মিশিগান ১.৮%, উইসকনসিন ২.৪%, পেনসিলভানিয়ায় ১.৯% এবং ফ্লোরিডাতে ১.২%-এ এগিয়ে আছেন। আরো আছে, ২৬শে সেপ্টেম্বর আরসিপি (রেড ক্লিয়ার পলিটিক্স) জরীপ বলেছে, হিলারী ৪৫.৯%, ট্রাম্প ৪৩.৮%। আগেরদিন ইকোনোমিস্ট-ইউগভ পোল বলেছে, হিলারী ৪% ভোটে এগিয়ে। পরেরদিন লস এঞ্জেলস টাইমস-ইউএসসি ট্র্যাকিং পোল বলেছে ট্রাম্প ৪% ভোট এগিয়ে।
আবার বিতর্ক নিয়েও বিতর্ক আছে। যেমন প্রথম বিতর্কের পরপরই ট্রাম্প সমর্থকরা বলছেন, লিবারেল মিডিয়া হিলারীকে ‘ফ্রিপাস’ দিয়েছে। বলা হচ্ছে, সঞ্চালক মি: লেস্টার বোল্ট তেমন কঠিন প্রশ্ন হিলারীকে করেননি। দৃষ্টান্ত দিয়ে তারা বলছেন, বিতর্কে বেনগাজী প্রসঙ্গ আসেনি। উত্থাপিত হয়নি ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন প্রসঙ্গ। হিলারীর স্বাস্থ্য, ডিলিটেড ই-মেইল, ইরাক যুদ্ধ বা সিরীয় শরণার্থী বৃদ্ধির প্রসঙ্গ আসেনি। মানতেই হবে বিতর্কে হিলারী সাবলীল ছিলেন, তবে ট্রাম্প তেমন খারাপ করেননি, প্রশ্ন হলো, এরচেয়ে কি তার ভাল করার কথা ছিলো? ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তির নিয়ে হিলারীকে তুলাধুনা করেছেন। আবার ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ না করার জন্যে হিলারী ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করেছেন। ট্রাম্প বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, হিলারী ৩৩হাজার ডিলিটেড ই-মেইল প্রকাশ করলে তিনি ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করবেন। ওবামার জন্ম সার্টিফিকেট প্রশ্ন নিয়ে ট্রাম্পের সুর নরম ছিলো এবং প্রেসিডেন্ট হবার সক্ষমতা প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে গুড়িয়ে দিয়ে হিলারী বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হবার জন্যে প্রস্তুত।
বিতর্কের এটাই বৈশিষ্ট্য যে সেটি একশ্যান প্যাক্টড হতে হবে, তাই হয়েছে। দেখা যাক, পরবর্তী দু’টি বিতর্ক কেমন হয়! কিন্তু হিলারীর জন্যে সুবিধা হচ্ছে, পুরো মিডিয়া এন্টি-ট্রাম্প। ট্রাম্প এমনকি সিএনএন-কে ৪র্থ শ্রেণীর মিডিয়া এবং নিউইয়র্ক টাইম্সকে যাচ্ছেতাই গালিগালাজ করেছেন এবং এরা তার পিছনে ঠিকই লেগে আছে। আবার এ সময়ে ৫জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জীবিত আছেন, এরা হচ্ছেন, দুই বুশ, ক্লিন্টন, কার্টার এবং ওবামা, কিন্তু একজনও ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন না! সিনিয়র বুশ তো ঘোষণা দিয়েই বলেছেন তিনি হিলারীকে ভোট দেবেন। তদুপরি হিলারী বেশকিছু রিপাবলিকানদের সমর্থন পাচ্ছেন। ট্রাম্প আগাগোড়া বুশ পরিবারের থেকে দুরুত্ব বজায় রাখছেন এবং এমনকি বেশকিছু দলীয় নেতাদের থেকেও। এটা কি তারজন্যে আশীর্বাদ না অভিশাপ হবে? কারো কারো মতে ট্রাম্পের একগুঁয়েমি তাকে শেষ পর্যন্ত জয়ের মুকুট এনে দেবে, আসলেই কি তাই?
এদিকে ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নোবেল বিজয়ী শিমোন পেরেজ মারা গেছেন এবং তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ওবামা-হিলারী-বিল ক্লিনটন যোগ দিয়েছেন। ফেরার পথে এরা সবাই একসাথে এয়ারফোর্স ওয়ানে ফিরেছেন, এটাও রাজনীতি। এরআগে ওবামা তার দলীয় প্রার্থী হিলারীর জন্যে নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, ওবামা কাজ ফেলে সময় নষ্ট করছেন কেন? লক্ষ্যণীয় যে, বিতর্কের পরপরই চব্বিশ ঘন্টায় ট্রাম্প ১৮ মিলিয়ন ডলার চাঁদা তুলেছেন। আবার ২৫শে সেপ্টেম্বর বিতর্কের ঠিক একদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমস হিলারীকে সমর্থন জানিয়েছে। প্রায় একই সময়ে টেড ক্রুজ যিনি কিছুতেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে রাজি ছিলেননা, তিনি অবশেষে সেই কাজটি করেছেন। ট্রাম্পের এক সমর্থক হিলারীর জনসমর্থন প্রসঙ্গে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, একদা আরকানসাসের ফার্স্টলেডী হিলারী সেখানে ২৮ পয়েন্টে পেছনে।
অন্যদিকে, সিনেট এবং হাউজ ৯/১১ বিলে ওবামার ভেটো রদ করেছে। এই বিলে ৯/১১ ভিকটিমদের সৌদী আরবের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ থাকছে। উভয় হাউসে বিলটি আগেই পাশ হয়েছিলো এবং ওবামা তাতে ভেটো দিয়েছিলেন। উভয় হাউস সেটা উল্টে দিয়েছে। এ ঘটনা ওবামার প্রেসিডেন্সীতে এই প্রথম। এরআগে হিলারী ক্লিন্টন নিমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এখন তিনি সুস্থ। মার্কিন নির্বাচনে স্বাস্থ্য একটি বিরাট ইস্যু। কোনকারণে হিলারী আবার অসুস্থ হলে ট্রাম্প সেই সুযোগ নেবেন। গ্রিনপার্টি প্রার্থী যিল স্টেইন বলেছেন,ট্রাম্প সমর্থকরা আসলে ট্রাম্পের সমর্থক নন, বরং তারা হিলারীর বিপক্ষে। ভোটাররা ট্রাম্প-হিলারী কাউকেই পছন্দ করছেন না। সুতরাং তাদের ভোট অন্যকেউ পাবেন, হতে পারে সেটা গ্রীনপার্টি। এবিসি নিউজ-ওয়াশিংটন পোষ্ট এরআগে এক জরিপে বলেছে, ভোটাররা ৬০% ট্রাম্পকে এবং ৫৯% হিলারীকে অপছন্দ করছেন। .
নির্বাচন নিয়ে পূর্ববর্তী খবরে পহেলা সেপ্টেম্বর ফক্স নিউজ বলেছিলো যে, হিলারীর জনপ্রিয়তা কমছে। ফলে ট্রাম্প উঠে আসছেন। এটা ঠিক, আগষ্টে উভয় দলের সম্মেলনের পর ট্রাম্প প্রায় সকল জরীপে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ছিলেন এবং কোথাও কোথাও তিনি ১৬% ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে ট্রাম্পের উঠে আসাটা অকল্পনীয়। তাই হয়তো প্রথম বিতর্কের পরপরই ৫৩৮’-র নেটে সিলভার বলছেন, এ মুহূর্তে নির্বাচন হলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবেন। পূর্বাহ্নে ট্রাম তার ইমিগ্রেশন নীতি ঘোষণা করলে দেখা যায় যে, তিনি আবার কঠোর অবস্থানে চলে গেছেন। ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, মেস্কিকো সীমান্তে দেয়াল হবে; এমিনিস্টি হবেনা; এবং অবৈধদের যেতে হবে। তিনি মেস্কিকো গিয়েছিলেন। দুই নেতা বৈঠক ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, উই উইল মেক মেস্কিকো গ্রেট এগেইন। হিলারী এই সফরকে ব্যর্থ বলেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই তিনি ‘ডিপোর্টেশন টাস্ক ফোর্স’ গঠন করবেন এবং অবৈধদের খেদাবেন।
তারআগে ট্রাম্প হিলারীর ই-মেইল কেলেঙ্কারীকে আর একটি ‘ওয়াটারগেট’ বলে মন্তব্য করেন। একইদিন হিলারী ও ট্রাম্প এক অপরকে ‘রেসিষ্ট’ বলে মন্তব্য করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ক্যালি এনি কনওয়ে ব্রিটিশ সাংবাদিক ম্যাট ফ্রেইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিল ক্লিন্টনের সাথে অন্য মহিলাদের যে সম্পর্ক, হিলারীর সাথে সত্যের সম্পর্কও তদ্রুপ। তিনি বলেন, ভোটাররা হিলারীকে ‘অসৎ’ ও অবিশ্বস্ত মনে করে। অন্যদিকে, ক্লিন্টনের ই -মেইল কেলেঙ্কারী এবং ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়ে যায়নি। বিল ক্লিন্টনের সেক্স স্ক্যান্ডাল প্রসঙ্গ আবার উঠে আসছে। ট্রাম্প বলেছেন, বিল প্রেসিডেন্ট পদের অবমাননা করেছেন এবং হিলারী তাতে সমর্থন জুগিয়েছেন।জিএসএ (জেনারেল সার্ভিস এডমিনিস্ট্রেশন) এক তদন্তে বলেছে, ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন এবং ই-মেইল সার্ভার টিকিয়ে রাখতে সরকারি তহবিল ব্যবহৃত হয়েছে।এফবিআই ১৪৯০০ নুতন ই-মেইলের সন্ধান দিয়েছে। হিলারীর ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার দেখভাল করতো, ঐরকম ৩টি কোম্পানীর বিরুদ্ধে সমন জারী হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন বন্ধ করে দিয়ে স্পেশাল প্রসিকিউটর দিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।
সবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীর দিকে তাকালে এমুহুর্তে মনে হবে হিলারী রডহ্যাম ক্লিন্টন হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আসলে সমীকরণটি অতটা সোজা নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় মুখ্যত: নির্ধারিত হয় প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ ষ্টেটগুলোতে, বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে ওগুলো এখনো অনিশ্চিত। হিলারী বা ট্রাম্প, যিনিই যেই স্টেটে এগিয়ে থাকুন না কেন, সেটাই শেষকথা নয়, কারণ এসময়ে জনমতের ব্যারোমিটার ঘনঘন ওঠানামা করবে। প্রতিদ্ধন্দিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। ট্রাম্প হেরে বসে আছেন ভেবে যারা নিশ্চিন্তে আছেন, তাদের আশা পূর্ণ হবার মত সুস্পষ্ট কোন লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছেনা। ট্রাম্পের জয় এখনো অসম্ভব নহে। রাজনীতিতে ‘আন্ডারকারেন্ট’ বলে একটি শব্দ আছে, সেই নি:শব্দ স্রোত সব হিসাব-নিকাশ ওলোট-পালট করে দিতে পারে।
শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
৪রা অক্টবর ২০১৬। নিউইয়র্ক।
