
আব্দুল হামিদ : হেফাজতের সঙ্গে কোনভাবেই আপোষ করা যাবে না। কারণ এ ধরনের রাজনৈতিক দল বা ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সরকার আপোষ করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলন্ঠিত হবে। তাই সময় থাকতে সরকারকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। গত ১৬ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক মিথুন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রবাসী বাঙালী নিউইয়র্ক এর আয়োজনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, রাকসুর সাবেক ছাত্রনেতা ও প্রগতিশীল আন্দোলনের সংগঠক সাংবাদিক সনজিবন কুমার, মুজাহিদ আনসারী, নিউইয়র্কের একুশে চেতনা পরিষদের সভাপতি ওবাইদুল্লাহ মামুন, ঢাকার গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জাকির হোসাইন রনি, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও প্রগতিশীল আন্দোলনের সংগঠক লুৎফুন নাহার লতা, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র নিউইয়র্কের মাহফুজা হাসান, নিউইয়র্ক গণজাগরন মঞ্চের সংগঠক গোপাল স্যানাল, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আহসান কিবরিয়া অনু প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটি মূর্তি নয়। এ ভাস্ককর্যকে মূর্তি বলে কিছু ব্যক্তি বা সংগঠন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
তারা বলেন, সার্বিক বাস্তবতায় মুক্তিযুদ্ধের সরকার এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলেও দাবী জানানো হয় সমাবেশ থেকে । বক্তারা আরো বলেন আমরা উদ্বিগ্ন থাকতে চাই না । ধর্মান্ধদের সঙ্গে আপোষ করলে তারা আস্কারা পাবে, ফলে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হতে পারে।
