
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার পরও বিদ্রোহী অধ্যুষিত সিরিয়ার ইদলিবে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার ও রাশিয়ার যৌথবাহিনী। গতকাল শনিবার একটি হাসপাতালসহ আরও বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হলে, এতে নিহত হন অন্তত ৭ জন।
আর ইদলিবে সামরিক অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির মধ্যেই ভূমধ্যসাগরের সিরীয় উপকূলে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, সিরিয়ার কামিশলি-তে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে মার্কিন-সমর্থিত সশস্ত্র কুর্দি বিদ্রোহীরা।
রুশ সামরিক বাহিনীর গোলাগুলির এ দৃশ্য সামরিক অভিযান মনে হলেও আসলে এটি কোনো যুদ্ধ নয়। চলতি মাসের শুরুতে ভূমধ্যসাগর ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ নৌ ও বিমান বাহিনী। তারই অংশ হিসেবে শনিবার সিরিয়ার লাতাকিয়ার উপকূলে সামরিক মহড়া চালায় রাশিয়া। এমন সময় এ মহড়া চালানো হলো; যখন ইদলিবে অভিযান নিয়ে আসাদ সরকারকে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোট।
এদিকে, তেহরান সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর দফায় দফায় বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা সর্বশেষ অঞ্চল ইদলিব। বিদ্রোহীদের দাবি, রুশ সামরিক বাহিনীর সহায়তায় রোববার এ হামলা চালায় আসাদ বাহিনী। হামলার পরপরই হতাহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে সেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটক কর্মীরা।
ব্রিটেন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, চলতি মাসে এ পর্যন্ত ৬০ টিরও বেশি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৭ জন। এর মধ্যে কেবল রোববারই প্রাণ হারায় ৭ জন। এছাড়া, রাসায়নিক হামলার আশঙ্কায় উদ্ধার অভিযানের প্রস্তুতি নিতে কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে হোয়াইট হেলমেট কর্মীরা বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আগাম প্রস্তুতি নিতে হোয়াইট হেলমেট কর্মীদের ওই বৈঠক হলেও এরমধ্যে ভিন্ন কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সহিংসপূর্ণ এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে ইদলিব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নয় বরং সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সরাসরি আলোচনাই সঙ্কট সমাধানের একমাত্র পথ বলেও মনে করেন তারা।
